এম এ আবির, হঠাৎ করে গত ৬ মাস যাবৎ ১৩ নং মাছিহাত ইউনিয়নের কাজির খোলা গ্রামে রাতে চোরের উপদ্রপ বেড়ে গিয়েছে। নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছে গ্রামবাসী। গতকাল ১৬ই মার্চ বুধবার রাতে চুরির উদ্দ্যেশ্য বেশ কয়েকটি ঘরের দরজা সজোরে ধাক্কা সহ ঘরের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা কালে ঘরের ভিতর থেকে চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে দৌড়ে পলায়ন করে। গত ৫ই মার্চ শনিবার রাত আনুমানিক ৩ টার সময় মরহুম জলফু ভূইয়ার চারটি গরু ও পাশের বাড়ি মরহুম মোবারক ভূইয়ার ঘরের সব মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের ভুক্তভোগী অনেকেই বলছেন রাত গভীর হলেই ঘরের সীদ বা ঘরের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। নতুবা ঘরের দরজা সজোরে ধাক্কা বা কোন বস্তুু দিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করছে। ঘরের ভিতরে মানুষের সজাগের উপস্থিতি টের পেলে দৌড়ে পলায়ন করে চোরেরা। গত কয়েকমাস আগে গ্রামের নিজেস্ব পদ্ধতিতে পালাবদল করে রাতে পাহারা দিলে কিছুদিন নিরাপদ ছিল। কিন্তুু গত দুই সাপ্তাহ যাবৎ আবারও চোরের উপদ্রপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে কাজির খোলা থেকে পাঘাচং এই দুই গ্রামের রাস্তাটির মধ্যেবর্তী ফাঁকা স্থানে একটি পুকুর আছে যাহা পাঘাচং এর পুকুর নামে পরিচিত। সন্ধ্যা পর পরই প্রতিনিয়ত ঘটছে ডাকাতি।মাগরিবের পর চান্দপুর বাজার থেকে আসা কাজির খোলা, খেওয়াই, চিনাইর এর লোকজন ডাকাতির কবলে পরছে। কারো হা পা চোখ বেঁধে সাথে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে যাচ্ছে। আবার সিএনজি ও অটোরিকশা আটকিয়ে করছে ডাকাতি। গ্রামবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগীতা কামনা করছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন,বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই পারবে চোরের উপদ্রপ কমাতে। আশাকরছি খুব দ্রুত আমাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় নিয়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে প্রশাসন।