গাছতলা ও ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের লোকজন জানান মুরগি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হওয়ার সুবাদে বীরদর্পে এই অন্যায় কাজটি করে যাচ্ছে।আমরা বিষয়টি একাধিক বার প্রতিবাদ করলেও তারা কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে বরং তারা তাদের এই ঘৃনিত কাজটি নির্বিঘ্নে চালিয়ে আসছে।
তাদের এই কর্মকাণ্ডে আমরা স্থানীয়রা খুবই আতঙ্কিত এবং ডাকাতিয়া নদীর এই পানি ব্যবহার অনুপোযোগী হওয়ার আশঙ্কা ভয়াবহ ও মারাত্মকভাবে বিরাজমান।এসকল বর্জ্য নদীতে ফেলার জন্য দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ডাকাতিয়া নদীর পানি।নদীতে দেখা যায় যে মরা মুরগি, মুরগির নাড়ি-ভুড়ি মুরগির পালক নদীর বিভিন্ন স্থানে আটকে রয়েছে। এতে করে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি নদীর পানিও দূষিত হচ্ছে।
আমরা প্রায় সময় দেখি নদীর বিভিন্ন প্রজাতি দেশীয় মাছ মরে ভেসে যাচ্ছে।
এছাড়াও চাঁদপুর পৌরসভার পানি উত্তোলনের ট্যাংকিটি গাছতলা ব্রিজের নিচে অবস্থান।যে পানি শহরের মানুষগুলো ব্যবহার করতে যাচ্ছে।এসকল বিবেকহীন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য যদি দিন দিন বাড়তেই থাকে তাহলে এই ডাকাতিয়া নদীর পানিতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে এবং অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পাবে বলে আশংকা করছেন পরিবেশবিধগণ সহ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ।
কিছুদিন পূর্বে ও ডাকাতিয়া নদীর পানির অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেড়ে এবং অক্সিজেনের মাত্রা কমে নদীর শত শত প্রজাতির মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠতে দেখা গেছে।এ বিষয়ে সচেতন মহলের পরামর্শ হল এর বিরুদ্ধে এই মুহূর্তেই দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অতি শীঘ্রই ডাকাতিয়া নদীটাও বুড়িগঙ্গা নদীর মত হয়ে যাবে। ।